এতে সে কখনও মজা পায়, কখনও আফসোস করে। যার খেলা দেখছে, সে যখন হারে তখন হয়তো মজা পায়। কারণ সেও তো হারছে। আবার পাশের জন বড় ‘দান মারলে’ আফসোস করে। তখন এদিক-ওদিক থেকে টাকা জোগাড় করে আবার খেলতে বসে, যদি বড় দান পাওয়া যায় সে আশায়। বাজি অ্যাপে যুক্ত এই তিন বন্ধু মনে করেন, অনলাইন ক্যাসিনোর এই জুয়া খেলাটা অন্ধকারে খেলার মতো। বাঁধলে বাজিমাত, না বাঁধলে কুপোকাত। তারপরও অনেকেই সহজেই বড়লোক হওয়ার আশায় বাজি ধরে। যারা খেলে তারাও জানে না যে, কারা অ্যাপটা নিয়ন্ত্রণ করছে। টাকা কখনও আসছে, কখনও যাচ্ছে। হারলে মনে হচ্ছে, পরের দানেই পাব। জিতলে মনে হয়, আরেকবার ধরে দেখি, বাঁধতেও তো পারে। সব মিলিয়ে একটা ঘোরের মধ্যে সময় চলে যায়।
বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে টাকা লোড এ অনলাইন ক্যাসিনোয় অংশ নেয়া দুই স্কুলশিক্ষার্থীর সঙ্গেও কথা হয়েছে নিউজবাংলার। তারা বলছে, এ বাজি খেলতে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ভরতে হয়। সর্বোচ্চ যত ইচ্ছা টাকা ভরা যায়। মোবাইল ক্যাসিনো লাইভ গেম যাদের অল্প পুঁজি, তারা দুয়েক হাজার টাকা ভরে ২০, ৫০ বা ১০০ টাকা করে একেক দানে বাজি ধরে। যার টাকার সমস্যা নেই সে ২০০-৫০০ করে একেক দানে বাজি ধরে। ক্যাসিনো গেম অনলাইন টাকা ইনকাম একসময় দেখা যায়, কেউ লাভে আছে। দুই দিন পরই শোনা যাচ্ছে, তার সব শেষ। তখনই টাকা জোগাড় করে বিকাশের দোকানে হাজির হয় সে। টাকা ভরেই আবার খেলা শুরু করে। যারা পড়াশোনা করে, তারা বাড়ি থেকে বা আত্মীয়দের কাছ থেকে নানা ছুতোয় টাকা জোগাড় করে। আর যারা আয়-রোজগার করে বা বাবার দোকানে বসে, তারা সেখান থেকে টাকা ‘ম্যানেজ করে’ জুয়া খেলে। ক্যাসিনো গেম স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও তরুণরাই বেশি বুঁদ বাজিতে